বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিনিয়োগে চন্দ্র ভ্রমন শীর্ষে ।
১৯৭১ সালের দেশ স্বাধীনের পর আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অবকাঠামোগত উন্নয়ন তাতে আমরা সফল হয়েছি। দেশের অর্থনীতি ও আর্থ সামাজিক খাতকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় শীর্ষ পর্যায়ে নেয়ার জন্য সরকার তথা আপামর জনগনের আন্তরিকতার কখনই কমতি ছিলনা এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে না। তারা নিজেদের আত্ম মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেশ বিদেশে এক মহা কর্মযজ্ঞে লিপ্ত রয়েছে । নিজের দেশ এবং অর্থনীতিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য অবিরত সংগ্রামের মাধ্যমে তারা নিজেদের এই জাতির নিকট অর্পণ করেছেন। তারা তাদের সুদক্ষ কর্ম দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে যেমনি গর্বিত করেছেন , তেমনি তাদের রক্ত ঝরানো বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়ে আমার প্রিয় সোনার দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা মজবুত এবং টেকসই করেছেন আমদের অর্থনীতিকে । এখন প্রশ্ন হলো কেন তারা দেশ মার্তৃকার স্বার্থে নিজেদের অর্পণ করেছেন। কারন একটাই দেশের শান্তি এবং নিরাপদ যোগ্য বসবাসের বাংলাদেশ চায় তারা। দেশে তাদের রেখে যাওয়া মানুষগুলো যেন নিরাপদ , টেকসই এবং সুন্দর পরিবেশ বসবাস করে নিজেদের সুনাগরিক হিসাবে গরতে পারে এই সপ্ন ভিশনে আমাদের প্রবাসী সোনার ছেলেরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমিও তাদের সাথে একমত হয়ে এই মুহূর্তে একটি সুশৃঙ্খল ,টেকসই ও মজবুত অর্থনীতির বাংলাদেশ চাই। এই চাওয়া শুধু একা আমার নয় । দেশের ১৮ কোটি আমজনতার চাওয়া। স্বাধীনতার অর্ধশত বছরেও যদি আমরা এই অবস্থানে শক্তভাবে দাঁড়াতে না পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই লজ্জিত। জাতি হিসাবে আমাদের সবই আছে। মানব সম্পদে আমরা বিশ্ব সেরা , কৃষি, মৎস্য , প্রানি সম্পদেও আমরা ইচ্ছা করলে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। আমাদের সর্বোবৃহৎ রপ্তানি পোষাক শিল্প দিয়ে সারা বিশ্বকে আমরা মাতিয়ে রেখেছি । এই খাতের উন্নতি আরো সুশৃঙ্খল এবং শক্ত অবস্থানে ধরে রাখার জন্য একটি দেশপ্রেমিক , যোগ্য ন্যায় পরায়ণ ও উদার মনো ভাবাপন্ন দক্ষ নেতৃতে দরকার। আমার দৃষ্টিতে এই জাতির মাঝে কোন কিছুর ঘাটতি নেই । আছে বিশাল কর্মধক্ষতা , আছে অদম্য এক মানসিক মনোবল , আছে এক অবিস্মরণীয় প্রবল ইচ্ছা শক্তি ।সর্ব দিকেই বাঙালি জাতি একটি স্মার্ট ও সুদক্ষ জাতি হিসেবে বিশ্ব অবয়বে আজকে প্রতিষ্ঠিত । এখন আমদের শুধুই প্রয়োজন সুদক্ষ এবং ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্বের । যে নেতৃত্বের সুদৃষ্টিতে থাকবে ১৮ কোটি মানুষের উন্নয়নকে সমভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। শতভাগ রপ্তানিযোগ্য বিশাল পোষাক শিল্পখাত দিয়ে আমরা যে ভাবে বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছি তেমনি এই জাতির জন্য আরেকটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিশাল সম্ভাবনার খাত হচ্ছে পর্যটন শিল্প। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আমরা যদি সুশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আগলে রাখি । আমাদের সোনার ছেলেরা বিদেশ থেকে ডলার এনে দেশের পর্যটন শিল্পে দুহাতে খরচ করবে, আবার বিনিয়োগও করবে। কারন আমাদের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোরম ও মনোমুগ্ধকর। বিদেশিরা একবার ঘুরতে এসে যদি পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে ভ্রমন করতে আনন্দ পায় তাহলে তারা প্রতিবছর আমাদের দেশে ঘুরতে আসবে। আর তখনই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের যত পর্যাটনের স্পট রয়েছে সবগুলকে সরকারের ব্যবস্থাপনায় ভ্রমন এবং বিনোদন উপযোগী করে নজর কাড়া পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরে ও খুলনা বিভাগের সুন্দরবনে চন্দ্র ভ্রমণ গ্রুপ আন্তর্জাতিক মানের হাউজবোট ও কুরুজ শিপ এর নির্মাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে ,বর্তমানে চন্দ্র ভ্রমণ গ্রুপ মালিকানা শেয়ার বিক্রয় করছে এখানে সুদ মুক্ত হালাল উপায়ে সুলভ লাভ এবং মুনাফার ধারা উন্মোচিত হবে এবং ভবিষ্যতে উচ্চমূল্যে মালিকানা হস্তান্তর বা বিক্রয় করা যাবে । চন্দ্র ভ্রমন হাউস বোট বা কুরুজ শিপ এ মালিকানা শেয়ার ক্রয় করিলে নিজ হাউস বোটে অবকাশ যাপন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে তাই দেশের মাটিতেই বিনিয়োগ করে সুলভ লাভ এবং মুনাফার ধারা উন্মোচিত হবে।সরকার যদি দেশে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত 720 কিলোমিটার উপকূলীয় পর্যটন এলাকা জুড়ে অত্যাধুনিক পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে পারে তাহলে আমাদের দেশী পর্যটক রাই আনন্দ উপভোগের জন্য দুই হাতে টাকা খরচ করবে। তখন আমাদের অর্থনীতিতে অশ্ব শক্তি মত গতি ফিরে আসবে। আমার পরামর্শ থাকবে, আধুনিক পর্যটন শিল্প গড়তে দেশের সকল বড় বড় আবাসন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বিনিয়োগের বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য দেশীয় বিদেশি মুদ্রা আয়ে এই পর্যটন শিল্প। একটি বিপুল সম্ভাবনাময় শিল্প,এই শিল্পে অবারিত উন্নয়নে সরকারকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের গার্মেন্টস শিল্প দিয়ে আমরা যে বিপুল পরিমাণে বৈদেশি মুদ্রা অর্জন করছি। সরকার যদি আন্তরিক হয় তাহলে অল্প বিনিয়োগী এই সম্ভাবনাময়ী পর্যটন খাত থেকে কারি কারি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। সরকারের একক সিদ্ধান্তে যদি বাংলাদেশী টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত টেকসই, দৃষ্টিনন্দন এবং নিরাপদ নজর কারা পর্যটন নগরীতে রূপ নেয় তাহলে আমি কথা দিতে পারি বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশে ঘুরতে আসবে!
আমাদের দেশের পর্যটকরা আকৃষ্ট হবে আকাশ পথে নয় জল পথে আনন্দ ভ্রমন আসতে দ্বিধা করবেন না। ৫৫ হাজার বর্গমাইল দেশের বাংলাদেশ । নিরাপদ নিরিবিলি পর্যটনের এক বিশাল সম্ভাবনার দেশ এই বাংলাদেশ। আমাদের শুধু প্রয়োজন হবে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ এবং প্রয়াস। আর সেই প্রয়াসের অংশ হিসেবে আমরা সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরে ও খুলনা বিভাগের সুন্দরবনের চন্দ্র ভ্রমণ গ্রুপ এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের হাউজবোট ও কুরুজ শিপ এর নির্মাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।
আপনারা আমাদের সত্য বাস্তবায়ন দেখে আসুন, ঘুরে আসুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরে ও খুলনা বিভাগের সুন্দরবনে । দেশবাসী তথ্য ব্যবসায়ী শিল্পপতি ভাই-বোনদের আহ্বান জানাচ্ছি আর বিদেশ নয় দেশের মাটিতে আমরা সোনা ফলাতে পারি। দেশের মাটিতেই পারি শুধু দরকার আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। আমার দেশের পর্যটন খাত হলো আপনার আমার বিনিয়োগের একমাত্র নির্ভেজাল প্রত্যাশা আর ভরসা স্থল। বিনিয়োগ করলে কোন ঝুঁকি নেই সরকারের পাশাপাশি আমরা যারা দেশের অর্থনীতি চাকা ঘোরানো সহায়ক উপযোগী ব্যবসায়ী শিল্পপতি রয়েছি সবাই মিলে যদি সৎ ভাবে, সৎ নিয়তে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করি আমার বিশ্বাস অল্পদিনে মধ্যেই আমাদের পর্যটন শিল্প গার্মেন্ট শিল্পের মতো বিশ্বকে অবাক করে দিবে ।আমাদের প্রকৃতি পরিবেশ বায়ু পানি সবই আল্লাহর মেহেরবানীতে।
পর্যটনের জন্য সময় উপযোগী। আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের যত নদী সাগর অঞ্চল তথা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে তাতে যদি টেকসই পরিকল্পিত পরিকল্পনা মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করে পর্যটন নগরীতে সাজাতে পারি তাহলে বিশ্বের যত নামিদামি পর্যটন রয়েছে তা আমাদের পর্যটন খাতের নিকট হার মানবে । আমরা কেন সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড মালায়েশিয়া ভারত মালদ্বীপ নেপাল কানাডা অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড আমেরিকা জাপান বিনোদনের জন্য ঘুরতে যাব কেন আমাদের কষ্টারজিত মুদ্রা বিদেশের মাটিতে অপচয় করব আসুন আমরা সবাই মিলে শস্য শ্যামল সবুজে ঘেরা প্রিয় সোনার বাংলায় নন্দিত সৌরবে পর্যটন শিল্প গড়ে নিজেরা আনন্দে মেতে উঠি আনন্দ বিলাস ভোগে জেগে উঠি এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেই অবারিত সুযোগ সুবিধার দুয়ার।
‘’’’’ সবার মঙ্গল কামনায় চন্দ্র ভ্রমণ’’’’’
The following person shall be the respective individual who has the full control and authority
over his business & will be called as a Managing Director or sole proprietor.
Md. Mosarrof Hossain- “Managing Director or sole proprietor”